About

About Us

“দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার, সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা, নয়নাভিরাম, নদী মাত্রিক জেলা মাদারীপুর। পলি মাটি সমৃদ্ধ আড়িয়াল খাঁ নদীর তীরে গড়ে উঠেছে এই জেলা।এই জেলায় বসবাসরত অথবা এই জেলার মাধ্যমিক স্কুল থেকে ১৯৯৫ সালের অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা সকল বন্ধুদের নিয়ে বন্ধুত্বের বন্ধন অটুট রাখার লক্ষ্যে একটি সংগঠন গঠিত হয়। সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন মুলক সংগঠনের নাম "আলোকিত-'৯৫" আমাদের বন্ধুদের মধ্যে অনেকেই নিজ নিজ যোগ্যতায় ও দক্ষতায় দেশের সমস্ত জেলা সহ বিশ্বের প্রায় দেশেই গৌরব ও সুনামের সাথে বসবাস করছেন, সকল বন্ধুদের বন্ধুত্বের বন্ধনে এক মানবতার ছাতার তলে আনাই এই সংগঠনের মূল লক্ষ্য।

মাদারীপু্রের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস:
ভারতবর্ষে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠার পরে যে সকল সুফি সাধারন্যে অসাধারন প্রভাব বিস্তার করেন তাদের মধ্যে শাহ মাদার অন্যতম। চতুর্দশ শতাব্দীর কোনো এক সময়ে বঙ্গের বিভিন্ন স্থান ভ্রমণের এক পর্যায়ে তৎকালীন চন্দ্রদ্বীপের উত্তর সীমান্তে গভীর অরন্যের যে স্থানটিতে তিনি ক্ষণিকের অতিথি হয়ে সহযাত্রীদের নিয়ে যাত্রা বিরতি বা বিশ্রাম গ্রহণ করেছিলেন সে স্থানটিতে তার নামানুসারে হযরত শাহ মাদার (র.) এর দরগাহ শরীফ নামকরণ হয়েছে। সপ্তদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে বিক্রমপুরের জমিদার ভূমিহীন প্রজাদের পূনর্বাসনের লক্ষ্যে চন্দ্রদ্বীপের স্মৃতিবিজড়িত ঐ স্থানটিকে কেন্দ্র করে সরকার মাদারণ বা মাদারণ অঞ্চল নামে আখ্যায়িত করে ফসলি জমি ও আবাসন গড়ে তুলেন। যা পরবর্তীতে নগরায়নে রুপ নিতে থাকে, নাম হয় মাদারণ গ্রাম-ইউনিয়ন। পর্যায়ক্রমে নগর সভ্যতার বিবর্তনের ফলে মাদারণ নাম থেকে ১৮৫৪ খ্রিষ্টাব্দে মাদারীপুর থানা-সাব ডিভিশন, ১৮৭৫ খ্রিষ্টাব্দে মাদারীপুর পৌরসভা এবং ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় মাদারীপুর জেলা। মাদারীপুর জেলার বর্তমানে পাঁচটি উপজেলা রয়েছে, মাদারীপুর সদর, রাজৈর, কালকিনি, শিবচর ও ডাসার”